ইচ্ছেপাঠঃ মিল্কি ওয়ে আমাদের গ্যালাক্সির নাম। সূর্য, পৃথিবীসহ আমাদের সৌরমন্ডল রয়েছে মিল্কি ওয়ের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি অংশে। অন্ধকার আকাশে, যেখানে আলোক দৃষণ নেই এবং চাঁদ যখন থাকে অক্ষরেখার নীচে সেই সময় দূর আকাশে অস্পষ্ট এক আলোকরেখা নজরে আসে। ওটিই মিল্কি ওয়ে। আমাদের মিল্কি ওয়ের নাম আকাশগঙ্গা। এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান মিল্কি ওয়ের ব্যাস ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ আলোকবর্ষ। অর্থাৎ আলো ২ লক্ষ বছরে যতটা পথ অতিক্রম করবে, আমাদের গ্যালাক্সির ব্যাস ততটাই। এই গ্যালাক্সিতে নক্ষত্র রয়েছে ১০ হাজার থেকে ৪০ হাজার কোটি। গ্রহের সংখ্যাও ঐরকমই। এছাড়াও রয়েছে সূর্যের থেকে ৪ হাজার ১০০ লক্ষ গুন বেশি ভরের বিশাল এক ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বর। এগুলো গ্যালাক্সির মাত্র ১০ শতাংশ। কারণ মিল্কি ওয়ের অক্ষপথে প্রতি সেকেন্ডে ২২০ কিলোমিটার বেগে ছুটছে নক্ষত্র, গ্যাস। এত দ্রুত ছোটার জন্যে ৯০ শতাংশ বস্তুর অস্তিত্বই টেলিস্কোপে ধরা পড়ে না। তাদের বলা হয় ডার্ক ম্যাটার। একটা মত বলছে এইসব ডার্ক ম্যাটার ধরে মিল্কি ওয়ের ব্যাস আসলে ২০ লক্ষ আলোকবর্ষ।