About Us | Contact Us |

জ্বলন্ত লাভা না থাকলে মিলত না গ্রানাইট, ব্যাসল্টের মত অমূল্য পাথর

লিখেছেন : ইচ্ছেপাঠ
জ্বলন্ত লাভা না থাকলে মিলত না গ্রানাইট, ব্যাসল্টের মত  অমূল্য পাথর

ইচ্ছেপাঠঃ  প্রতি বছর প্রায় ৬০টি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ঘটে। বর্তমানে পৃথিবীতে  ৫০০র মতো জীবন্ত আগ্নেয়গিরি আছে। পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রবল চাপে তৈরি হয় তাপ। অনেক আগ্নেয়গিরির জন্ম দুই বা তার বেশি টেকটোনিক প্লেটের অবিরত ঠোকাঠুকিতে। লিথোস্ফিয়ারের গভীরে দুই প্লেটের ঠোকাঠুকিতে বিপুল পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয়। তাপের ফলে গলে যায় লিথোস্ফিয়ারের শক্ত পাথর। তখন সেটা গলিত লাভায় পরিণত হয়। জ্বলন্ত লাভা, ছাই এবং গ্যাস মেশানো অংশকে বলা হয় ম্যাগমা। যেহেতু কঠিন পাথরের বাকি অংশের থেকে তরল হাল্কা, তা লিথোস্ফিয়ার দিয়ে অপরে উঠে আসার চেষ্টা করে। যখন তা ওপরে উঠে আসতে পারে তখনই আগ্নেয়গিরির অস্তিত্ব সবাই বুঝতে পারে। তবে অনেক সময়েই ম্যাগমা নিচ থেকে ওপরে ওঠার পথ পায় না। ক্রমশ ম্যাগমা তখন ঠান্ডা হয়ে আবার শক্ত জমাট পাথরে পরিণত হয়। তবে বদলে যায় পাথরের চরিত্র। একে বলা হয় ম্যাগমা চেম্বার। ম্যাগমা চেম্বার আয়তনে অনেক বড়ও হতে পারে। যত বড় হবে ম্যাগমা চেম্বার, ভবিষ্যতে আগ্নেয়গিরির জোরাল বিস্ফোরণের সম্ভাবনা ততই বাড়বে। ম্যাগমা ঠান্ডা হয়ে কঠিন শিলায় পরিণত হয়। একে আগ্নেয়শিলা বলে। ব্যাসল্ট, গ্রানাইটের মত পাথরও আসলে আগ্নেয় শিলা।