ইচ্ছেপাঠঃ সাহারায় যদি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ একটু বেশি হতো, তাহলে শুকিয়ে যেতে পারত পৃথিবীর বৃহত্তম রেন ফরেস্ট অ্যামাজন। মানে অন্যভাবে বললে সাহারায় বৃষ্টি হয়ই না বা অতি কম পরিমাণে হয় বলেই এত উর্বর অ্যামাজনের মাটি। ধাঁধার মতোন মনে হলেও আপাত অসম্ভব এই ঘটনাটিই ঘটে চলেছে প্রকৃতির আশ্চর্য খেয়ালে।
প্রতি বছর প্রবল বৃষ্টির স্রোতে অ্যামাজন জঙ্গলের মাটি ধুয়ে চলে যায় অ্যামাজন নদী দিয়ে। এই পরিমাণ মাটি জলে ভেসে যাওয়ার পরেও গাছপালারা বেঁচে থাকে কী করে? বৃষ্টির জলে ফসফরাস ধুয়ে যাওয়ার পরে কী করে মাটি এত উর্বর থাকে? এখানেই জড়িয়ে আছে প্রকৃতির ভারসাম্যর রহস্য। সাহারা থেকে প্রতি বছর ১৮ কোটি ২০ লক্ষ টন ধুলোবালি উড়ে যায় আটলান্টিকের উপর দিয়ে। তার বেশ কিছুটা পড়ে যায় আতলান্তিকের বুকেই। আর ২৬০০ কিলোমিটার পার হয়ে তিন কোটি টন ধুলোবালি এসে পড়ে অ্যামাজনের জঙ্গলে। এর থেকে পাওয়া যায় ২ কোটি টনেরও বেশি ফসফরাস। এই ফসফরাস পেয়েই নতুন করে উর্বর হয়ে ওঠে আটলান্টিকের মাটি। যে বছর সাহারা অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হয়, ধুলো কম ওড়ে বলে সে বছর অ্যামাজনের মাটিতে ফসফরাসও কম পৌঁছয়।