ইচ্ছেপাঠঃ বিস্ময়কর লাগলেও এটাই সত্যি। কলকাতায় অবস্থিত টালা ট্যাঙ্ক আয়তনে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের থেকেও বড়। সল্ট লেক স্টেডিয়ামের মাপ ৩৪৪ ফুট x ২২৩ ফুট। সেখানে টালা ট্যাঙ্কের মাপ হল ৩২১ ফুট x ৩২১ ফুট। উচ্চতায় ১১০ ফুট অর্থাৎ প্রায় ১০ তলা বাড়ির সমান উঁচু এই ট্যাঙ্ক। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ওভারহেড রিজার্ভার হলো কলকাতার ‘টালা ট্যাঙ্ক’। ১৯০৯ সালে তৎকালীন গভর্নর স্যার এডওয়ার্ড বেকার টালা ট্যাঙ্কের শিলান্যাস করেন এবং ১৯১১ সালে নাগরিকদের জল সরবরাহ করার জন্য খুলে দেওয়া হয় ট্যাঙ্ক। ট্যাঙ্ক তৈরির প্রস্তাবিত খরচ ছিল ৬৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৭৪ টাকা । ট্যাঙ্ক নির্মাণের জন্য প্রায় ৮৫০০ টন লোহা লেগেছিল। যা ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার থেকে জাহাজে করে আনা হয়েছিল। টাইটানিক জাহাজ যে লোহা দিয়ে তৈরি হয়েছিল টালা ট্যাঙ্কেও একই লোহা ব্যবহার করা হয়েছে। আজকে যেখানে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ওভারহেড জলের রিজার্ভার, একসময় সেখানে ছিল বিরাট এক পুকুর। পুকুরটি ছিল বাবু খিলাত ঘোষের। কলকাতার নাগরিকদের পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্যে বাবু খিলাত ঘোষ পুকুরসহ ৪৮২ একর জমি দান করেন। সেইসময় হেদুয়া, ভবানীপুর এবং ওয়েলিংটন এ পুকুর কেটে কলকাতার বাসিন্দাদের জল সরবরাহ করা হত। ৯০ লক্ষ গ্যালন জল ধরার ক্ষমতা রাখে টালা ট্যাঙ্ক। ট্যাঙ্কের উচ্চতা ১৮ ফুট, কিন্তু জল থাকে ১৬ ফুট পর্যন্ত। পলতায় গঙ্গা থেকে পরিশোধিত জল প্রায় ২২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ৬টি পাইপের মাধ্যমে টালায় পৌঁছায়। তা জমা হয় নীচের জলাধারে। সেখান থেকে ৬০ ইঞ্চি পাইপে সেই জল ওঠে মাটি থেকে ১১০ ফুট উপরের ওই ট্যাঙ্কে।