About Us | Contact Us |

বেশি কাজ করলে আমাদের ক্লান্তি লাগে কেন?

লিখেছেন : ইচ্ছেপাঠ
বেশি কাজ করলে আমাদের ক্লান্তি লাগে কেন?

ইচ্ছেপাঠঃ কথায় বলে শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয় – অর্থাৎ আমাদের শরীর নানারকম পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে কম বেশি মানিয়ে নিতে পারে। কিন্তু শরীরও একটানা কাজ করে যেতে পারে না, তাকে বিশ্রাম দিতে হয়। যখন দ্রুত গতিতে আমরা কোনও কাজ করি, তখন আমাদের মাংস পেশীগুলি তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী অক্সিজেন পায় না। এমন অবস্থায় আমাদের শরীরকে অতিরিক্ত শক্তি জোগাতে গিয়ে মাংস পেশীতে সঞ্চিত গ্লাইকোজেন, ফারমেনেটশন প্রক্রিয়ায় ল্যাকটিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়। এই ল্যাকটিক অ্যাসিড মাংস পেশীর কাজ করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। শরীরের এই রকম অবস্থাকে শ্রান্তি বা ক্লান্তি বলে। ল্যাকটিক অ্যাসিড মাংস পেশীর উপর বিষবৎ ক্রিয়া করে। যদি কোনো প্রকারে মাংস পেশী থেকে এই ল্যাকটিক অ্যাসিডকে দূর করা যায়, তাহলে সেগুলি আবার কর্মক্ষম হয়ে ওঠে।

পেশীগত কাজের ফলে ‘ফ্যাটি টক্সিন’ নামে এক প্রকার জৈব বিষও শরীরে তৈরি হয়। তা রক্তের মাধ্যমে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তার ফলে শরীর এবং মস্তিষ্ক উভয়ই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এমন কি আমরা যখন কোনো মানসিক কাজ করি তখনও ল্যাকটিক অ্যাসিড ও জৈব বিষ শরীরে উত্পন্ন হয় এবং আমরা শ্রান্তি বোধ করি। ক্লান্তির আরও একটা বড় কারণ হল ডিহাইড্রেশন। শরীরে ফ্লুইডের পরিমাণ কমে গেলেই ডিহাইড্রেশন হতে পারে। আর এর ফলেই ক্লান্তি ঘিরে ধরে আমাদের। ক্লান্তি  শুধুমাত্র রাসায়নিক প্রক্রিয়া নয় – জৈবিক প্রক্রিয়াও বটে। আসলে, এটি একটি শরীরের প্রতিরক্ষামূলক বন্দোবস্ত।