ইচ্ছেপাঠঃ মানুষের যত বয়স বাড়ে তত তার শরীরে ও চেহারায় তার ছাপ পড়ে। বয়স হলে চামড়ায় ভাঁজ পড়ে,দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর। বার্ধক্য বাসা বাঁধে শরীরে।কী করে ধীরে ধীরে একটি শরীর বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যায়, সেপ্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে এটা অত্যন্ত জটিল এক প্রক্রিয়া। আমাদের কোষ ও কলায় যে আণবিক ক্ষতি হতে থাকে তার ফলেই ধীরে ধীরে বুড়িয়ে যায় শরীর। বিজ্ঞানীদের মতে বয়স বাড়ার ফলে শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটে।
কম বয়সে আমাদের শরীরের ক্রমাগত নতুন কোষ তৈরি হয়।কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের সেসব দক্ষতা কমে যায়। তখন কোষে অপ্রয়োজনীয় অথবা বিষাক্ত প্রোটিন জমাতে শুরু করে, যেগুলো নানা রোগের কারণ হয়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে শরীরের কোষগুলোর চর্বি বা চিনি জাতীয় উপাদানকে পরিপাক করার ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে।এজন্য বয়স বাড়ার পর বিভিন্ন রোগ যেমন ডায়াবেটিস হবার শঙ্কা বাড়ে।
মাইটোকন্ড্রিয়া শরীরের কোষে শক্তি যোগান দেয়, কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে তাদের কর্মক্ষমতা কমে যায়। কিছু গবেষণা বলছে, মাইটোকন্ড্রিয়ার কর্মদক্ষতা যদি নতুন করে বাড়ানো যায়, তাহলে সমস্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীর আয়ু বাড়ানো সম্ভব হবে। সুস্থ–সবল তরুণদের সক্রিয় দেহকোষ অনেক বেশি। কিন্তু ৬০ বছরের পর থেকে ক্ষয়িষ্ণু দেহকোষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে আসে বার্ধক্য। এই বুড়িয়ে যাওয়া দেহকোষগুলো সারিয়ে নতুন কোষ সঞ্চয় সম্ভব কি না তা নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে।