ইচ্ছেপাঠঃ ছাতা কে না ব্যবহার করে? বর্ষাকালে সঙ্গে ছাতা না থাকলে বিপদে পড়তে হয় অনেক সময়েই। তবে এমন এক সময় ছিল, যখন বৃষ্টি আটকাতে ছাতা ব্যবহার করা হত না। ছাতার প্রথম ব্যবহার মোটামুটি আজ থেকে ৪ হাজার বছর আগে। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় ছাতা ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে সময় ছাতা দিয়ে যে জল আটকানো যায়, এরকম ধারণাও ছিল না তখনকার মানুষের মধ্যে। রোদের হাত থেকে বাঁচতে ছাতার ব্যবহার শুরু হয়। ইংরেজিতে ছাতাকে বলা হয় আমব্রেলা। লাতিন শব্দ আমব্রা থেকে আমব্রেলা এসেছে। লাতিনে আমব্রা শব্দের অর্থ ছায়া। অর্থাৎ যা ছায়া দেয়, তা আমব্রেলা। মিশরের ফারাওদের ব্যবহারের জন্যে ছাতা তৈরি করা হত তালগাছের পাতা, পালক আর কাঠ দিয়ে। চিনারা ছাতা তৈরির জন্য কাপড়, চামড়া, কাগজ, সিল্ক, পশুর হাড় ব্যবহার করা শুরু করে। ছাতার বাট তৈরি করা হত পশুর হাড় দিয়ে। অনেক জায়গায় ছাতার বাট, হ্যান্ডেল তৈরি হত তিমি মাছের হাড় দিয়ে। সে সময় ছাতা প্রধানত ব্যবহার করতেন অভিজাত মহিলারাই। ছাতা ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। এ কারণেই রাজাদের মাথায় রাজছত্র দেখা যায়। রাজছত্রের অপমান মানে রাজারই অপমান হিসেবে ধরা হয়। সতোরোশ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত শুধুমাত্র মহিলারাই ছাতা ব্যবহার করতেন। পুরুষরা ছাতা ব্যবহার করলে তা নিয়ে বাকিরা হাসাহাসি করত। ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ পরিব্রাজক জোনাস হ্যানওয়ে লন্ডনের রাস্তায় ছাতা ব্যবহার শুরু করেন। তাকে নিয়ে সবাই পরিহাস করলেও তিনি ছাতার ব্যবহার ছাড়েননি। হ্যানওয়ের দেখানো পথে এরপর থেকে মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষরাও ছাতার ব্যবহার শুরু করেন। এবং রোদ আটকানোর পাশাপাশি বৃষ্টি থেকে বাঁচতেও অপরিহার্য হয়ে ওঠে ছাতার ব্যবহার।