About Us | Contact Us |

অলিম্পিক সোনার পদকে কতটা সোনা থাকে?

লিখেছেন : ইচ্ছেপাঠ
অলিম্পিক  সোনার পদকে কতটা সোনা থাকে?

ইচ্ছেপাঠঃ অলিম্পিকের একটি পদক বিশ্বের হাজার হাজার ক্রীড়াবিদের স্বপ্ন। 'গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ'-এ  একটি পদক পেয়ে নিজের নাম উজ্জ্বল করে রাখার স্বপ্ন দেখেন সমস্ত ক্রীড়াবিদই।প্রতিটি অলিম্পিক আসরে পদকের ওজন ভিন্ন হয়ে থাকে। রিও অলিম্পিকের চেয়ে টোকিও অলিম্পিকের পদক কিছুটা ভারী। যার ডিজাইন করেন জাপানি ডিজাইনার জুনিচি কাওয়ানিশি। প্রতিটি স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ পদকের ব্যাস ৮৫ মিলিমিটার এবং ব্যাপ্তি ৭.৭ মিলিমিটার থেকে ১২.১ মিলিমিটার পর্যন্ত।

অনেকেই হয়তো জানেন না,অলিম্পিকের সোনার পদকে সোনা থাকে মাত্র ১.৩৪ শতাংশ। খাঁটি রূপোর উপর গোল্ড-প্লেটের তৈরি প্রতিটি স্বর্ণ পদকের ওজন ৫৫৬ গ্রাম। ৫৫৬ গ্রাম ওজনের পদকে সোনা থাকে ৬ গ্রাম। এর আগে ২০১৬-র রিও অলিম্পিকেও সোনার পরিমাণ ছিল ৬ গ্রামই। তবে পদকের মোট ওজন কিছুটা কম ছিল (৪৯৪ গ্রাম)। রুপোর পদকের ওজন হয় ৫৫০ গ্রাম। আর তাতে পুরোটাই রুপো থাকে। ব্রোঞ্জ পদকের ওজন হয় ৪৫০ গ্রাম। তাতে ৯৫ শতাংশ ব্রোঞ্জ থাকে, ৫ শতাংশ থেকে জিঙ্ক। 

তবে অলিম্পিকে এক সময় পুরো সোনা দিয়েই তৈরি হত পদক। ১৯১২ সালের স্টকহোম অলিম্পিক পর্যন্ত পুরো সোনা দিয়ে তৈরি মেডেল পেয়েছিলেন বিজয়ীরা। ১৯০৪ সালের সেন্ট লুইস অলিম্পিকে মেডেলের জায়গায় দেওয়া হয়েছিল সোনার ট্রফি। বিশ্বব্যাপী সোনার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে খরচের পরিমাণ আকাশ ছোঁয়ায়, নামমাত্র সোনায় পদক তৈরি শুরু করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। 

টোকিও অলিম্পিকে প্রথমবার পুনরায় ব্যবহারযোগ্য পুরোনো ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য দিয়ে পদক বানানো হয়েছে। যে ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য দিয়ে অলিম্পিক পদক বানানো হয়েছে, তা জাপানবাসীরা দান করেছেন। জানা গিয়েছে, পদক তৈরির জন্য ৬২ লক্ষ পুরোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৩২ কেজি সোনাও লেগেছে পদক তৈরির সময়।