ইচ্ছেপাঠঃ একটা বাজ পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের আলোয় ঝলসে যায় চোখ। বিদ্যুতের ঐ ঝলসানি দেখা যায় মোটামুটি ১০০ মাইল এলাকা জুড়ে। একটা হিসেব বলছে পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ডে ৫০ থেকে ১০০টা করে বাজ বা বজ্র পড়ে। অর্থাৎ একদিনেই পৃথিবীতে বাজ পড়ে ৪৮ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষের কাছাকাছি। একটা বাজে কতটা বিদ্যুৎ থাকে? মোটামুটি বলা যায়, পৃথিবীর ৩ মাইল উচ্চতার মধ্যে যে সমস্ত বাজ পড়ে, গড়ে প্রতিটিতে ১ বিলিয়ন ভোল্ট বৈদ্যুতিক শক্তি থাকে। যা তথ্য পাওয়া গেছে, পৃথিবীতে সবথেকে শক্তিশালী বাজের বৈদ্যুতিক শক্তি ছিল ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ভোল্ট। এইরকম একটা বাজ থেকে বিদ্যুৎ যদি সংগ্রহ করা যেত তাহলে মোটামুটি ২৭,৮৪০ কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। এটা অনুমান করে নেওয়া যেতে পারে, যেহেতু সঠিক তথ্য পাওয়া যায় নি। ২৭,৮৪০ কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ দিয়ে কতটা কাজ করা যাবে? গড়পড়তায় আমাদের পরিবারে ১৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। হিসেব করলে দাঁড়াচ্ছে, এই হারে একটি পরিবার ১৮৫ মাস বা ১৫ বছর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবে একটি বাজ থেকে। তবে বাস্তব তথ্য বলছে, পৃথিবীর মাটিতে পড়ার সময় বজ্রের এই বিপুল পরিমাণ শক্তির অতি অল্প অংশই অবশিষ্ট থাকে। সিংহভাগ শক্তিই তার আগে বাতাসে তাপশক্তি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণেই যে পথে বাজ পড়ে, সেই এলাকা অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে থাকে। এর ফলে বাজের থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করে রাখা প্রযুক্তিগতভাবে যেমন সম্ভব নয় এবং ফলদায়কও নয়, অন্তত আজকের দিনে দাঁড়িয়ে।