About Us | Contact Us |

অনাবৃষ্টি নাকি অতিবৃষ্টি, কেন ধ্বংস হয়ে গেল সিন্ধু সভ্যতা?

লিখেছেন :
অনাবৃষ্টি নাকি অতিবৃষ্টি, কেন ধ্বংস হয়ে গেল সিন্ধু সভ্যতা?

ইচ্ছেপাঠঃ  সিন্ধু নদের তির ধরে যে প্রাচীন সভ্যতা, তাই সিন্ধু সভ্যতা নামে বিখ্যাত। খ্রিস্টপূর্ব ৩ হাজার ৩০০ সাল থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১ হাজার ৩০০ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এই সভ্যতা। নীল নদের তিরে মিশরীয় সভ্যতা এবং ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর ধারে মেসোপটেমিয়াও প্রায় একই সময়ে গড়ে ওঠেবর্তমানের আফগানিস্তানের উত্তর পূর্ব অংশ-পাকিস্তান- ভারতের পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম অঞ্চল পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত ছিল এই সভ্যতা। হরপ্পা ও মহেঞ্জোদরো এই সভ্যতার দুই বৃহত্তম শহর। অনুমান করা হয় ৩০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন এই দুটি শহরে। ঐ সময়ে গোটা অঞ্চলে ১০ থেকে ৫০ লক্ষ মানুষ বাস করতেন। নগর পরিকল্পনায় পোড়া ইট, পানীয় জল, জল নিকাশি, ব্রোঞ্জ, তামা, শিসার ব্যবহার বুঝিয়ে দেয় ঐ সময়েই এই সভ্যতা কত উন্নত ছিল। মাটির তলায় চাপা পড়ে ছিল গোটা সভ্যতা। ১৮২০ সালে প্রথম নজরে আসে হরপ্পা শহর। এরপর একে একে গোটা সভ্যতার কথা জানা যায়। গোটা সভ্যতা জুড়ে এক হাজারের মত শহর ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত খনন কার্য চালিয়ে পরিচয় পাওয়া গেছে ১০০ শহরের।

 

এহেন সভ্যতা ধ্বংস হল কি করে, তার কারণ নিয়ে এখনও রয়েছে অনেক সংশয়। সেই সময় উর্বর কৃষিপ্রধান অঞ্চল ছিল সিন্ধু নদের উপত্যকা অঞ্চল। কারোর মতে ক্রমাগত অনাবৃষ্টির ফলে গোটা অঞ্চলটাই ধীরে ধীরে মরুভূমিতে পরিণত হয়, সিন্ধু নদও গতি পরিবর্তম করে। তবে উল্টো মতও আছে। একদন ঐতিহাসিক মনে করেন অতিবৃষ্টিতেই ধ্বংস হয়ে গেছে প্রাচীন এই সভ্যতা। কারণ যাই হোক একদিনে বা রাতারাতি কিন্তু ধ্বংস হয়নি গোটা সভ্যতা।